আল-হাদীস পর্ব-৩৮ :: [নামাজ]
পরম করুনাময় আল্লাহ্ এর নামে শুরু করলাম
আসসালামু আলাইকুম, কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভালই আছেন, আমি ও আমরা আপনাদের দোয়ায় এবং আল্লাহ্র অশেষ রহমতে অনেক ভাল আছি।বেশি হাদীস দেই না, কারন আমার মত অনেক লোক আছে, যারা বেশি লেখা দেখলে সেটা পড়তে চায় না, তাই অল্প কয়েকটা হাদীস দিলাম, যারা যত ব্যস্তই থাকুক এই অল্প কয়টি হাদীস পড়ে নিতে পারবে, এবং অল্প হবার কারনে মনে রাখতে পারবে আবার তা আমল করারও চেষ্টা করবে।
পর্ব এক পর্ব ০২ পর্ব ০৩ পর্ব ০৪ পর্ব ০৫ পর্ব ০৬ পর্ব ০৭
পর্ব ০৮ পর্ব ০৯ পর্ব ১০ পর্ব-১১ পর্ব-১২ পর্ব-১৩ পর্ব-১৪
পর্ব ১৫ পর্ব ১৬ পর্ব-১৭ পর্ব-১৮ পর্ব-১৯ পর্ব-২০ পর্ব-২১
পর্ব-২২ পর্ব-২৩ পর্ব-২৪ পর্ব-২৫ পর্ব-২৬ পর্ব-২৭ পর্ব-২৮
পর্ব-২৯ পর্ব-৩০ পর্ব-৩১ পর্ব-৩২ পর্ব-৩৩ পর্ব-৩৪ পর্ব-৩৫
৪. হযরত কুররাহ ইবনে দা’মুস (রাযিঃ) বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সহিত বিদায় হজ্জে আমাদের স্বাক্ষ্যাৎ হয়। আমরা আরজ করিলাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ, আপনি আমাদিগকে কি কি বিষয়ে অসিয়ত করিতেছেন? তিনি এরশাদ করিলেন, আমি তোমাদিগকে অসিয়ত করিতেছি যে, নামায কায়েম করিবে, যাকাত আদায় করিবে, বাইতুল্লার হজ্জ করিবে এবং রমযান মাসের রোযা রাখিবে। এই মাসে এমন একটি রাত্র রহিয়াছে যাহা হাজার মাস হইতে উত্তম। কোন মুসলমান ও জিম্মিকে (অর্থাৎ যাহাদের সহিত মুসলমানদের কোন প্রকার চুক্তি সম্পাদিত হইয়াছে) কতল করা এবং তাহার মাল সম্পদকে নিজের জন্য হারাম অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হইবে। তোমাদিগকে আরো অসিয়ত করিতেছি যে, তোমরা আল্লাহ তায়ালা ও তাঁহার অনুগত্যকে মজবুত করিয়া ধরিয়া থাকো। (অর্থাৎ গায়রুল্লার রাজি নারাজির পরওয়া না করিয়া হিম্মতের সহিত দ্বীনের কাজে লাগিয়া থাক।) (বায়হাকী)
—————————————————————————————————————-
৫. হযরত জাবের ইবনে আবদুল্লাহ (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলিয়াছেন, বেহেশতের চাবি হইল নামায আর নামাযের চাবি হইল অযূ।(মুসনাদে আহমাদ)
—————————————————————————————————————-
৬. হযরত আনাস (রাযিঃ) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন, আমার চোখের শীতলতা নামাযের মধ্যে রাখা হইয়াছে (নাসায়ী)
————————————————————————————————————–
৭. হযরত ওমর (রাযিঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করিয়াছেন যে, নামায দ্বীনের স্তম্ভ।(জামে সগীর)
————————————————————————————————————–
৮. হযরত আলী (রাযিঃ) হইতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শেষ অসিয়ত এই করিয়াছেন যে, নামায, নামায আপন গোলাম ও অধীনস্থদের ব্যাপারে আল্লাহ তায়ালাকে ভয় কর। (অর্থাৎ তাহাদের হক আদায় কর।)(আবু দাউদ)
—————————————————————————————————————-
ভাল লাগলে কমেন্টে জানাতে ভুলবে না…
ভুলে ভরা জীবনে ভুল হওয়াটা অসম্ভব কিছু নয়,যদি আমার লেখার মাঝে কোন ভুলত্রুটি থাকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। ধন্যবাদ সবাই ভাল থাকবেন।